Adsence

দাঁতের ক্ষয়ের প্রতিকার

 আমরা যা খাই সে সব খাদ্যের কণা মুখ ও দাঁতের ফাঁকে ঢুকে থাকে। খাওয়ার পর মুখ ও দাঁত পরিষ্কার না করলে খাদ্য কণা পঁচে দাঁতের গোড়ায় জীবাণু সংক্রমণ ঘটে। দাঁতের উপরে, ফাঁকে এবং মাড়ি সংলগ্ন স্থানে খাদ্য কণা জমে আঠালো প্লাক তৈরী হয়ে পাথরে পরিণত হয় ও দাঁত ক্ষয় হয়। এছাড়া দাঁত খোঁচানো, সেপটিপিন, সূচ, ধুপের কাঠি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও দাঁতের ক্ষয় হয়।




দাঁতের ক্ষয়ের কারণ

দৈনন্দিন খাবারে বেশী চিনি, গুড় ও শর্করা থাকা দন্তক্ষয় বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

টকজাতীয় খাবার বা পানীয় বেশী পরিমাণে খাওয়া।

ধুমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা।

অহেতুক বার বার দাঁত খোঁচানো।

এলোপাতাড়ি বা খুব জোরে দাঁত মাজা।

ছাই, কয়লা, পোড়া মাটি ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজা।

দাঁতের পাথর বা দাঁতের দাগ তুলতে ব্লেড বা ছুরি ব্যবহার করা।


দাঁতের ক্ষয়ের উপসর্গ ও লক্ষণ

ঠান্ডা ও গরম খাবার খেলে দাঁত শিরশির করা।

খাদ্য চিবানোর সময় দাঁত ব্যাথা করা।

দাঁতের গায়ে গর্ত হওয়া।

চোয়ালের হাড়ে তীব্র ব্যাথা ও ফোলা।

দাঁতে তীব্র ব্যাথা।


দাঁতের ক্ষয়ের জটিলতা সমূহ

দাঁত শিরশির করা।

খাদ্য চিবানোর সময় অসুবিধা অনুভূত হওয়া এবং গর্তের ভিতর খাবার ঢুকে থাকা।

দাঁতে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হওয়া।

দাঁতের মধ্যে পুঁজ তৈরী হওয়া।

দাঁত নড়া এবং পড়ে যাওয়া।





দাঁতের ক্ষয়ের চিকিৎসা

দাঁত ফিলিং করা।

দাঁতের রুট ক্যানেল করা।

দাঁতে ক্যাপ পরানো।


দাঁত ভালো রাখতে যা যা করণীয়

দাঁতের সুরক্ষা ও মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা।

প্রতিদিন রাতে খাবার পরে এবং ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা।

আঠালো খাবার যেমন -  চিনি, পপকর্ণ এবং অন্যান্য মিষ্টিজাত খাদ্য সামগ্রী খাওয়ার পর মুখগহ্বর বিশেষ করে দাঁত ভালভাবে পরিষ্কার করা।

ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য বর্জন করা।

খাবার গ্রহণের পর ভালভাবে মুখ পরিষ্কার করা।

দাঁত মাজার জন্য ব্রাশ ও পেস্ট ব্যবহার করা।

উপরের চোয়ালে দাঁত উপর থেকে নিচের দিকে এবং নিচের চোয়ালে দাঁত নিচ থেকে উপর দিকে ব্রাশ করা।

দিনে অন্তত ২ বা ৩ বার দাঁতের মাড়ি আঙ্গুল দিয়ে মালিশ করা।

দাঁত মাজার পর জিহ্বা আঙ্গুল দিয়ে হালকাভাবে ঘষে জল দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করা।

প্রয়োজনে অভিজ্ঞ দাঁতের চিকিৎসক দিয়ে দাঁত স্কেলিং করা।

দাঁত ও মুখগহ্বরের কোন ব্যাথা বা যে কোন সমস্যা দেখা দিলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

প্রতি ৬ মাস অন্তর অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে মুখ ও দাঁতের পরিক্ষা করা।

কোন মন্তব্য নেই

If you have any question, Please let us Know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.