টিকা নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর
ভ্যাকসিন কি নিতেই হবে ?
না, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে দুটি ডোজ পুরোপুরি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। আপনি সুরক্ষিত হলে আপনার আশপাশের সকলেই তুলনায় নিরাপদে থাকবেন।
এত কম সময়ে তৈরি ভ্যাকসিন নিলে কোনও ক্ষতির আশঙ্কা আছে কি ?
তিন দফায় ট্রায়ালের পর সব দিক খতিয়ে দেখেই টিকায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তাই সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকা যায় বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
করোনা-জয়ীকেও কি টিকা নিতে হবে ?
হ্যাঁ। টিকায় শক্তিশালী প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হবে, যা সংক্রমণে হয় না।
টিকা নেওয়ার পর কী করণীয় ?
ভ্যাকসিনেশন সাইটে অন্তত আধ ঘন্টা থাকা প্রয়োজন। কোনও অসুবিধা হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
কোন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক
মৃদু জ্বর, ব্যাথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া. যা যে কোনও টিকার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আ্যালার্জি যাদের রয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা বেশি হতে পারে, তা আগে জানিয়ে রাখা দরকার।
কত বার টিকা নিতে হবে ?
২৮ দিনের ব্যবধানে দুবার।
ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরতে হবে ?
হ্যাঁ। কারণ, সাধারণত দ্বিতীয় ডোজ পড়ার দু সপ্তাহ পর প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, দূরত্ববিধি মেনে চলা প্রয়োজন।
শুরুতে কাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ?
শুরুতে টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এরপর ষাটোর্ধ্বদের টিকা দেওয়া হবে, তারপর পঞ্চাশোর্ধ্বদের। তারও পরে পঞ্চাশের কম বয়স অথচ কো-মর্বিডিটি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের টিকাকরণ হবে।
টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন জরুরি ?
হ্যাঁ। কো-উইন অ্যাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে নাম লেখাতে হবে। কোথায়, কবে কখন টিকাকরণ, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত এই অ্যাপ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সীমাবদ্ধ।
কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন ?
প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, এনরেগা জব কার্ড, পেনশন ডকুমেন্ট, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের পাস বই, শ্রম মন্ত্রকের স্বাস্থ্যবিমার স্মার্ট কার্ড, সাংসদ-বিধায়কদের আই কার্ড, সরকারি সার্ভিস আই কার্ডের যে কোনও একটি। টিকাকরণ কেন্দ্রেও ফটো-আইডি নিয়ে যেতে হবে।
Post a Comment