Adsence

শীতের ক্রিম দোকান থেকে কিনবেন কেন? খাঁটি উপকরণে বাড়িতেই বানিয়ে নিন

 শীতে ত্বক নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ় করতেই হয়। কোনওটি সকালে মাখার, কোনওটি রাতে। কোনওটি ঘরে থাকলে মাখতে হয়, কোনওটি আবার বাইরে বেরোলে। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজ়ার কিনতে হয়। শুষ্ক ত্বকের জন্য একরকম, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আবার অন্যরকম। আর ত্বকে যদি ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা বেশি থাকে, ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়, তা হলে কিন্তু বাজারচলতি ক্রিম বেশি ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ কেনা ময়েশ্চারাইজ়ারে নানা রকম রাসায়নিক থাকে যা ত্বকের জন্য ভাল নয়। শীতের জন্য ময়েশ্চারাইজ়ার তৈরি করে নিন বাড়িতেই। 




উপকরণ

১ কাপ তাজা মালাই


১ চামচ আমন্ড অয়েল


১ চামচ মধু


১ চামচ গোলাপজল


আধ চামচ গ্লিসারিন

১ চামচ অলিভ অয়েল

১ চামচ নারকেল তেল


১ থেকে ২ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল (ল্যাভেন্ডার বা রোজ়)


বায়ুনিরোধী শিশি


প্রণালী

দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে উপরের সর তুলে নিতে হবে। এই সর পরিষ্কার পাত্রে রাখবেন। এ বার একটি পাত্রে সেই মালাই নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। ৩-৫ মিনিট ধরে ফেটাতে হবে যাতে ঘন ও মিহি মিশ্রণ তৈরি হয়। এ বার তাতে এক এক করে মিশিয়ে দিতে হবে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল। ভাল করে নাড়তে হবে।

মালাই ও তেলের মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে দিন। এই দুই উপাদানই ত্বক আর্দ্র ও সতেজ রাখবে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর করবে। এ বার সেই মিশ্রণে মেশান সামান্য গোলাপজল। এতে সুন্দর গন্ধও হবে আবার গোলাপজলের অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ, জ্বালা ভাব দূর করবে। এর পর ত্বকের ধরন বুঝে চাইলে এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতেও পারেন আবার না-ও মেশাতে পারেন। এসেনশিয়াল অয়েলে অনেকের অ্যালার্জি থাকে। তাই বুঝেশুনেই ব্যবহার করতে হবে।

ক্রিম তৈরি হয়ে গেলে সেটিকে একটি বায়ুনিরোধী শিশির মধ্যে নিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি দিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম মালিশ করলে ত্বক নরম ও জেল্লাদার থাকবে। বলিরেখার সমস্যা দূর হবে।






কোন মন্তব্য নেই

If you have any question, Please let us Know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.