বসন্তের হাওয়া দিতে শুরু করেছে, চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে কোন খাবারগুলি খাবেন?
মরসুমটা শীতের হলেও বাইরে গেলে বসন্তের হাওয়ার স্পর্শ লাগছে শরীরে। এমনিতে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। কখনও ঠান্ডা লাগছে, কখনও আবার গরম। প্রকৃতির এই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় এমনিতেই রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কা থাকে। তবে শীতের শেষে বসন্তের হাত ধরে আসে চিকেন পক্স। বায়ুবাহিত এই রোগ যাঁদের এর আগে হয়নি তাঁদের, এবং বিশেষত শিশুদের অবশ্যই এই সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি। এমনকি, যাঁদের ইতিমধ্যেই এই অসুখ এক বার হয়েছে, সতর্ক না থাকলে তাঁরাও শিকার হতে পারেন এই অসুখের। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।
সজনে ফুল
শীত ও বসন্তের এই সন্ধিক্ষণে মাঝেমাঝেই সজনে ফুল খেতে পারেন। এই সময় বায়ুবাহিত নানা অসুখ ঠেকাতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সজনে ফুল অত্যন্ত উপকারী। প্রতি দিন অল্প করে হলেও সজনে ফুল খান। উপকার পাবেন।
নিম
নিম পাতা এমনিতেই জীবাণুনাশক। স্নানের সময়ে জলে নিম পাতা ফেলে স্নান ও পাতে নিম পাতা রাখলে এই অসুখ রোখা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ‘ভ্যারিসেল্লা’ ভাইরাসেরর আক্রমণে এই রোগ হয়। নিমপাতা সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
বাঁধাকপি
শীত যে হেতু এখনও পুরোপুরি চলে যায়নি, ফলে বাজারে খুঁজলে পাওয়া যাবে বাঁধাকপি। থাইরয়েডের সমস্যা না থাকলে বাঁধাকপি খেতে পারেন। এতে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বসন্তের মতো বায়ুবাহিত অসুখ ঠেকাতে সাহায্য করে।
গাজর
শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গাজর খুবই উপকারী। বিটা ক্যারোটিন এবং অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই সব্জি বসন্ত ঠেকাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া যে কোনও সংক্রামক রোগের সঙ্গে লড়তে গাজর খুবই কার্যকর।
টক দই
টক দই টক্সিন দূর করে, শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শরীর ভিতর থেকে টক্সিন মুক্ত থাকলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এমনিতেই বেড়ে যায়। বসন্ত রোগ ঠেকাতে তাই ভরসা রাখতে পারেন এই ধরনের প্রোবায়োটিক উপাদান যুক্ত খাবারের উপর। এ ছাড়া দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরে নানাবিধ সংক্রমণ ঠেকায়।
Post a Comment