Adsence

জরায়ুকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে এক স্বাস্থ্যকর পানীয়! যা দূরে রাখবে পিসিওডি ও ঋতুর সমস্যাও


 জরায়ুর মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। যার উপর নির্ভর করে মহিলাদের সার্বিক ভালথাকা। তাই জরায়ুর স্বাস্থ্য ভাল রাখা অত্যন্ত জরুরি।


মহিলাদের মন-মেজাজ এবং শরীরের ভালমন্দ অনেকটাই নির্ভর করে হরমোনের ভারসাম্যের উপর। আর জরায়ু সেই হরমোনের ভারসাম্যকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। প্রতি মাসে মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় অথবা মেয়েরা অন্তঃসত্ত্বা হলে হরমোন এবং জরায়ুর এই একে অপরকে প্রভাবিত করার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। যার উপর নির্ভর করে মহিলাদের সার্বিক ভালথাকা। যেখানে পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের মতো রোগের হার ক্রমে বাড়ছে এবং হরমোনের ভারসম্য নষ্ট করছে, তখন স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্যই জরায়ুকে ভাল রাখা দরকার।


পিসিওডি হলে ঋতুস্রাবের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি, মুখে ব্রণ-ফুস্কুড়ির বাড়বাড়ন্ত এমনকি, সন্তান ধাণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। এই সমস্ত সমস্যার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে তার পাশাপাশি জরায়ুর স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য একটি ডিটক্স পানীয়ও খাওয়া যেতে পারে। বাড়িতে থাকা ঘরোয়া উপাদান দিয়েই তৈরি করা যেতে পারে সেই পানীয়।

কী ভাবে বানাবেন?


উপকরণ: এক কাপ জল



আধ চা চামচ জিরে



আধ চা চামচ জোয়ান



আধ চা চামচ আদাকুচি



আধ চা চামচ ঘি


প্রণালী: কড়াইয়ে ঘি গরম করে তার মধ্যে জিরে, জোয়ান এবং আদাকুচি ভাল ভাবে ভেজে নিন। সোনালি রং ধরলে তার মধ্যে ঢেলে দিন এক কাপ জল। জল ফুটে উঠলে আঁচ মাঝারি করে তত ক্ষণ রেখে দিন, যত ক্ষণ না জলের পরিমাণ কমে অর্ধেক হচ্ছে। তার পরে আঁচ বন্ধ করে ছেঁকে নিন। ঈষদোষ্ণ অবস্থাতেই পান করুন।


কখন খাবেন?


দিনে এক বার এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে। তবে খালি পেটে খাওয়াই ভাল।


কী কী উপকার?


১। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থাকলে এবং ঋতুস্রাব কম হলে।


২। ডিম্বাশয়ে সিস্টের সমস্যা থাকলে।


৩। পেট ফাঁপা, হজমের সমস্যা থাকলে


৪। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমলে।


৫। প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইলে এই পানীয় উপকারী।


কী ভাবে সাহায্য করে?


জিরে: ডিম্বাশয়ে সিস্ট বা মাংসপিণ্ড তৈরির সমস্যা হলে মহিলাদের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। জির তাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ইনস্যুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে জিরে। আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তসঞ্চালন সাহায্য করে যা ঋতুস্রাবের নানা সমস্যা দূরে রাখে।


জোয়ান: পিসিওডি অর্থাৎ ডিম্বাশয়ে সিস্টের সমস্যা হলে মহিলাদের ওজন কমাতে সমস্যা হয়। জোয়ান বিপাকের হার বৃদ্ধি করে ওজন বাড়তে দেয় না। শরীরকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে জরায়ু থাকে পরিচ্ছন্ন। পাশাপাশি, জোয়ান ঋতুস্রাবের সময়ের পেটে ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে।


আদা: আদার প্রদাহনাশক উপাদান ঋতুস্রাবের সময়ের কোমর এবং পেটের ব্যথা কমায়। পিসিওডি হলে ইনস্যুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়। আদা ইনস্যুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।


ঘি: প্রজননে জরুরি হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। খাবার থেকে পুষ্টিগ্রহণে সাহায্য করে। শরীরকে জরুরি উষ্ণতা জোগায়, যা জরায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।




কোন মন্তব্য নেই

If you have any question, Please let us Know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.