Adsence

এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন বাড়িতে কী ভাবে বানাবেন?

 দোকান থেকে কেনা সানস্ক্রিন মাখলেই ত্বকে জ্বালা হচ্ছে? অনেকেরই কেনা সানস্ক্রিন সহ্য হয় না। ত্বকে র‌্যাশও বেরিয়ে যায়। তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন।


কাঠফাটা রোদে সানস্ক্রিন না মেখে বেরোনোই দায়। অথচ দারুণ অগ্নিবাণের মধ্যে বাইরে বেরোতেই হবে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে মেকআপ করুন আর না-ই করুন, সানস্ক্রিন মাখতে ভুলে গেলে চলবে না। তা হলেই সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের দফারফা করে দেবে।

কিন্তু আপনি দেখছেন যে, দোকান থেকে কেনা সানস্ক্রিন মাখলেই ত্বকে জ্বালা হচ্ছে। তা হলে উপায়?

সানস্ক্রিন কিন্তু বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া যায়। তার নির্দিষ্ট প্রণালী আছে। দোকান থেকে যে সানস্ক্রিন কিনছেন, তাতে অনেক সময়েই এমন রাসায়নিক থাকে যা আপনার ত্বকের জন্য ঠিক নয়। বিশেষ করে ত্বক যদি বেশি স্পর্শকাতর হয়, তা হলে সানস্ক্রিন মাখলে ত্বকে জ্বালা হতেই পারে, অনেকের র‌্যাশও বেরিয়ে যায়। তাই বাড়িতে বানিয়ে নেওয়াই ভাল।


সানস্ক্রিন কী ভাবে বানাবেন?


উপকরণ

১/৪ কাপ নারকেল তেল


১/৪ কাপ শিয়া বাটার

শিয়া বাটার (Shea Butter) শিয়া গাছের বীজ থেকে তৈরি একটি প্রাকৃতিক তেল বা মাখন। এটি সাধারণত আফ্রিকার কিছু অংশে পাওয়া যায়। শিয়া বাটার ত্বক এবং চুলের জন্য খুব উপকারী এবং এটি ময়েশ্চারাইজার এবং লোশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়.



২ চা-চামচ জ়িঙ্ক অক্সাইড পাউডার

জিঙ্ক অক্সাইড পাউডার, বা জিংক অক্সাইড (ZnO), একটি অজৈব সাদা গুঁড়ো যা বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক এবং প্রদাহ বিরোধী হিসাবে পরিচিত, যা ত্বককে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে সাহায্য 



১ চামচ বিসওয়াক্স প্যালেট

প্রাচীন মিশরীয় নারীরা ত্বকচর্চার জন্য বিসওয়াক্স ব্যবহার করতেন। এটা আসলে মৌচাকের মোম। শ্রমিক মৌমাছিরা মধু রাখার জন্য মোম জমিয়ে মৌচাক তৈরি করে। সেই মোমই কাজে লাগানো হয় ত্বকচর্চায়। বর্তমানে অনেক মেকআপ, সানস্ক্রিন এবং শিশু পণ্যে বিসওয়াক্স ব্যবহার করা হয়।



১০ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল

নীলগিরির তেলকে ইংরেজিতে বলা হয় ইউক্যালিপটাস অয়েল। এটি ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা থেকে উদ্ভূত এবং এর ঔষধি গুণাবলীর জন্য পরিচিত, যার মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করার ক্ষমতা, পেশীর ব্যথা প্রশমিত করা এবং এন্টিসেপটিক সুবিধা প্রদান করা।

প্রণালী

১) একটি বড় পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে একটি ছোট বাটি বসিয়ে দিন।

২) ছোট বাটিতে নারকেল তেল, শিয়া বাটার ও বিসওয়াক্স প্যালেট একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।

৩) তাপে বিসওয়াক্স প্যালেট গলে যাবে। তার পর মিশ্রণটিকে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে এতে মেশান জিঙ্ক অক্সাইড।

৪) এর পরে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন।


বাড়িতে সানস্ক্রিন বানালে জ়িঙ্ক অক্সাইড সেই ভূমিকা পালন করে। তবে যদি জ়িঙ্ক না মেশাতে চান, তা হলে বিকল্প উপায়ও আছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেও তৈরি করতে পারেন সানস্ক্রিন।

উপকরণ

৪ চা-চামচ অ্যালো ভেরা জেল



২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল



আধ চামচ ভিটামিন ই সিরাম


প্রণালী

একটি কাচের বাটিতে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন। তাতে তিন থেকে চার ফোঁটা গোলাপজল মেশান। এ বার মিশ্রণটি কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। বাইরে বেরোনোর আগে নিয়ম করে মাখলে ত্বক ভাল থাকবে। অ্যালো ভেরা সানবার্ন থেকে বাঁচাবে আর ভিটামিন ই ত্বকে কোলাজেন তৈরি করবে। আর যেহেতু কোনও রাসায়নিক মিশছে না, তাই স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যও এটি খুব ভাল।












কোন মন্তব্য নেই

If you have any question, Please let us Know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.