Adsence

নাছোড় ব্রণ সারান রাতারাতি

ব্রণর সমস্যা হলে ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখতে হবে, এই আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বকে যেন ধুলোবালি না জমে। কারণ, এর থেকেই ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। ফল হিসেবে ব্রণর সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ ছাড়া তেল-মশলাযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার ডায়েটে রাখলেও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় যত বেশি খাবেন, সমস্যা তত বেশি বাড়বে।




 ব্রণ খুব সহজেই দূর হবে এর জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। এই প্রতিবেদনে এমন কিছু সহজ টোটকার হদিশ দেওয়া হল যা প্রয়োগ করলে ব্রণ সারিয়ে ফেলতে পারবেন সহজেই।


অ্যাসপিরিন গুঁড়ো প্রয়োগ করতে পারেন




  • ব্যথা কমাতে অ্যাসপিরিন যতটা ভালো, ঠিক ততটাই ভালো ব্রণ কমানোর ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাসপিরিনে স্যালিসাইলিক নামক অ্যাসিড থাকে যা ব্রণর ব্যথা আর লালচেভাব দ্রুত কমাতে পারে।
  • একটা অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে তাতে একটু জল মিশিয়ে পেস্ট বানান।
  • সেই পেস্ট ব্রণর উপরে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলেই সকালে উধাও হবে ব্রণ।

টি ট্রি অয়েল




  • যে কোনও ত্বকের সমস্যা রুখতেই টি ট্রি অয়েল বেশ কার্যকরী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
  • পোকামাকড়ের কামড়ের হাত থেকেও রক্ষ্মা করে এই ব্রণ। টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কোমলভাবে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষ্মা করে।
  • ব্রণর সমস্যা থাকালে অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলো দিয়ে ব্রণর উপরে লাগান।
  • ২-৩ দিন এই ভাবে ব্যবহার করুন ব্যথা কমে যাবে।
  • কোল্ড কমপ্রেস

    • ব্রণ লাল হয়ে ফুলে থাকলে, ব্যথা হলে কোল্ড কমপ্রেস লাগিয়ে দেখুন, আরাম পাবেন।
    • কাপড়ের ন্যাপকিন বা পেপার টাওয়েলে একটুকরো বরফ মুড়ে ব্রণর উপরে আলতো করে লাগান।
    • এক ঘণ্টায় তিন-চারবার দশ মিনিটের জন্য এভাবে কোল্ড কমপ্রেস দিলে ফোলা আর লালচেভাব দুটোই কমে যাবে।

    যে খাবারে ব্রণ কমে


  • কমলা: ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস যা শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না।  ভিটামিন সি ব্রণ দূর করার ভালো উৎস। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে কোষকলার মাত্রা বাড়ায়। এটা কোষ ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো ও সুস্থ রাখে।





তিসি ও আখরোট: রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা প্রদাহ কমায় এবং বাড়তি ‘সিবাম’ ও ব্যাক্টেরিয়ার উৎপাদন কমায়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও ব্রণ দেখা দেয়। সতেজ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলেও একই উপকারিতা পাওয়া




মাশরুম: জিংকের ভালো উৎস। জিংক ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হওয়া ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত জিংক খাওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ভালো ফলাফল পেতে পরিমিত খাওয়া উচিত। 



  •  

    পেঁপে: এর উজ্জ্বল কমলা রংয়ে আছে অত্যাবশ্যকীয় এনজাইম- প্যাপাইন ও কায়ম্যাপোপেইন, যা ব্রণ কমাতে চমৎকার কাজ করে। পেঁপে খাওয়া হলে এটা লোমকূপকে উন্মুক্ত করে, ব্রণের দাগ কমায় এবং ত্বকে রংয়ের ভারসাম্যহীনতা থাকলে তা দূর করে। পেঁপে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবারহ করে।




  • যা থেকে বিরত থাকতে হবে


  • উচ্চ গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স সমৃদ্ধ খাবার যেমন- সাদা রুটি, ভুট্টার গুঁড়া, আলু ভাজা, প্রক্রিয়াজাত চিনি সমৃদ্ধ মিষ্টি খাবার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে গরুর দুধ ব্রণের জন্য দায়ী হয়। তাই এর বদলে বাদাম, ওট মিল্ক বা ছাগলের দুধ গ্রহণ করতে পারেন। অ্যাল্কোহল বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মসলা ও আচার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবনমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।



কোন মন্তব্য নেই

If you have any question, Please let us Know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.