Adsence

গলব্লাডারে পাথর হচ্ছে কি না আগেভাগেই বোঝা যায়, কী কী দেখলেই চিকিৎসককে জানাবেন, সতর্ক হোন।

পিত্ত থলিতে পাথর বা গলব্লাডার এখন সবার পরিবারেই দেখা যাচ্ছে। পিত্তথলিতে পাথর হলে অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ শুরু হয়ে যায়। এছাড়া এটি পিত্তথলিতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতেও কাজ করে।



গলব্লাডার হজম ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি খাদ্য হজম প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গলব্লাডার যকৃত থেকে নির্গত পিত্ত সঞ্চয় করে, তারপর এটি ছোট অন্ত্রে পাঠায়, যেখানে এটি ফ্যাট এবং খাদ্য ভেঙ্গে শোষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই অংশে পাথর থাকা আপনার শরীর নানা সমস্যায় পড়তে পারে। অনেক সময় এই সমস্যা ক্যানসারেও রূপ নেয়।



গল ব্লাডারের স্টোনের লক্ষণ



 পিত্তথলির পাথর কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ সৃষ্টি করে না। এই লক্ষণগুলি কয়েক মিনিট বা ঘন্টার জন্য দেখা দিতে পারে পিত্তথলির পথ আটকানোর কারণে

  • উপরের ডানদিকে পেটে তীব্র ব্যথা
  • স্তনের হাড়ের ঠিক নীচে পেটের মাঝখানে তীব্র ব্যথা
  • কাঁধের মধ্যে পিঠে ব্যথা
  • ডান কাঁধে ব্যথা
  • বমি হওয়া
  • বমি বমি ভাব

গলব্লাডারে পাথর হওয়া সম্পর্কে কোন কোন বিষয় মনে রাখতেই হবে?

১) মহিলাদের গলব্লাডারে পাথর হয় সব থেকে বেশি। সাধারণত মহিলারা বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকেন। তার ফলে এই সমস্যা হয়।

২) ৪০ বছর বয়সের পরে গলব্লাডারে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে। তাই এই সময় বেশি করে জল খাওয়া এবং সাবধানে থাকা উচিত।

৩) পরিবারে কারও যদি এই সমস্যা থেকে থাকে,তাঁদের ক্ষেত্রে এই গলব্লাডারে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

৪) ওজনে হঠাৎ পরিবর্তন হলে, গলব্লাডারে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

৫) ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা,তাঁদের ক্ষেত্রেও গলব্লাডারে সমস্যা বেশি দেখা যায়। সেখান থেকেই পরবর্তীতে পাথর হতে দেখা যায়।

খাবার এড়িয়ে যাবেন না


আপনি যখন খাবেন না, তখন পিত্তথলিতে একটি তরল জমা হয়, যা আপনার গলব্লাডারে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরে পরিণত হয়।

খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন


গোটা শস্য ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা আপনার এলডিএল বা 'খারাপ' কোলেস্টেরল কমায়। এর পাশাপাশি, গোটা শস্য সেবন হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং পিত্তথলির পাথরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার আপনার পাচনতন্ত্র মেরামত করার পাশাপাশি আপনার শরীর থেকে পিত্ত দূর করে।

একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন

 অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে স্থূলতা আপনাকে পিত্তথলির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার গলব্লাডার স্টোনকে বড় করে তোলে, এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় যা পাথরের সৃষ্টি করে।

প্রচুর শাকসবজি এবং ফল খান



তাজা শাকসবজি এবং ফল আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে আপনার গলব্লাডার। ভিটামিন সি এবং ই সহ ভিটামিনে ভরপুর ফল এবং সবুজ শাক, পিত্তথলির পাথর থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ভাজা খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলুন



ফ্যাটযুক্ত খাবার হজম করতে সাহায্য করার জন্য পিত্তথলিকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ভাজা খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা আপনার রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে ভাজা খাবার খেলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

ডিসক্লেইমারএই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।





কোন মন্তব্য নেই

If you have any question, Please let us Know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.