Adsence

বাড়িতে যে কাশির সিরাপ রয়েছে তা শিশুর জন্য নিরাপদ তো? কেনার আগে কী কী যাচাই করে নেবেন?

 

কাশির সিরাপ খেয়ে পর পর শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর আতঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে। চিকিৎসকেরা সতর্ক করে জানাচ্ছেন, ২ বছরের কমবয়সিদের কাফ সিরাপ খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়। কিছু সময়ে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সোজা দোকানে গিয়ে কাফ সিরাপ বেছে নিয়ে চলে আসেন অনেকে। তার লেবেলও হয়তো তাঁরা দেখেন না। অনেকেই জানেন না, কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিরাময় সংস্থা চার বছরের কমবয়সিদের জন্য বিশেষ অ্যান্টি-কোল্ড ড্রাগ কম্বিনেশন এ দেশে নিষিদ্ধ করেছে। তবে যাঁদের বাড়িতে কাশির সিরাপ রয়েছে, তাঁরা ব্যবহারের আগে অবশ্যই দেখে নেবেন সেগুলি নিরাপদ কি না। কেনার আগেও যাচাই করে নিতে হবে যে সিরাপটি কিনছেন, তা শিশুদের খাওয়ানো যাবে কি না।

কাশির সিরাপ কেনার আগে কী কী দেখে নেবেন?

ব্র্যান্ডের নাম

কোন ব্র্যান্ডের ওষুধ কিনছেন, সেটি দেখে নিতে হবে। যে কোম্পানির নামই শোনেননি, তাদের তৈরি কাশির সিরাপ না কেনাই ভাল। কেবলমাত্র দাম কম দেখেই কিনে ফেলবেন না। শিশুদের খাওয়াতে হলে একমাত্র নামী ও প্রতিষ্ঠিত ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কাশির সিরাপই কিনতে হবে। Cough syrups in India

তৈরির ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়

যে কোনও ওষুধ কেনার সময়েই এটি যাচাই করে নিতে হবে। ওষুধটি কবে তৈরি হয়েছে, তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন।

উপাদান

কাশির সিরাপটিতে কোন কোন উপাদান রয়েছে, তা অবশ্যই লেবেল থেকে পড়ে নিতে হবে। খেয়াল করবেন, সিরাপে প্রপিলিন গ্লাইকল আছে কি না। এই উপাদানটি শরীরের জন্য নিরাপদ।

যে সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকল (ডিইজি), ইথিলিন গ্লাইকল (ইজি) বা কোডেইনের মতো উপাদান থাকবে, সেটি ভুলেও কিনবেন না। এই ধরনের রাসায়নিক বিষাক্ত, শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা হয়। রক্তে মিশলে লিভার-কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।

সিরাপে অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান থাকলে সেটিও শিশুর জন্য নিরাপদ নয়।

অ্যালকোহল বা কৃত্রিম চিনি মেশানো থাকলেও তা ক্ষতিকর। এই সব উপাদান আছে কি না, তা কেনার আগে দেখে নিতে হবে।

কাশির সিরাপের লেবেলে যদি কোনও রকম দ্রাবকের নাম বা উপাদানের নাম না থাকে, তা হলে সেটি কিনবেন না।

কয়েক রকম ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশনের সিরাপ শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। তাই কেনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শংসাপত্র

কাশির সিরাপের গায়ে ‘হু-জিএমপি সার্টিফায়েড’ WHO লেখা আছে কি না দেখে নেবেন। অথবা আইএসও চিহ্ন থাকবে। যদি দেখেন এসব কিছুই নেই, অথচ লোগো বা স্ট্যাপ আছে, তা হলে বুঝতে হবে সেই ওষুধে ভেজাল রয়েছে।

ওষুধের লাইসেন্স

প্রতিটি সিরাপের ডিএল বা এমএফজি লাইসেন্স নম্বর থাকবে, যা রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটি নির্ধারণ করবে। এই নম্বর দেখলে বুঝতে হবে, ওষুধটির গুণমান যাচাই করা হয়েছে। তাই কেনার আগে লাইসেন্স নম্বর দেখে নেবেন।

সংরক্ষণ সম্পর্কিত তথ্য

কাশির সিরাপ ভাল মানের কি না, তা বুঝতে আরও একটি বিষয় খেয়াল করতে হবে। সিরাপটি কী ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে, তার তথ্য অবশ্যই লেখা থাকবে। যদি উল্লেখ না থাকে, তা হলে সেই ওষুধ না কেনাই ভাল।

কিউআর কোড বা বারকোড    

এখন বেশির ভাগ নামী ব্র্যান্ডের ওষুধের লেবেলেই কিউআর কোড বা বারকোড দেওয়া থাকে। সেটি স্ক্যান করলেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট খুলে যায় ও ওষুধ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সেখানে উল্লেখ করা থাকে। কেনার আগে এক বার সেই কোড স্ক্যান করে দেখে নেবেন। যদি দেখেন, কোনও ওয়েবসাইট খুলছে না বা ‘পেজ নট ফাউন্ড’ দেখাচ্ছে, তা হলে সাবধান হতে হবে।



কোন মন্তব্য নেই

If you have any question, Please let us Know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.