রোগ সারাতে যোগ । কুক্কুটাসন
যোগাসন কি এবং কত প্রকার ও কি কি? What is Yoga
যোগ-যোগ বায়ামের জন্য আসন অপরিহার্য। শাস্ত্রে অনেক লক্ষ লক্ষ আসনের কথা বলা হয়ে থাকলেও কিছু প্রধান আসন রয়েছে। সে সকল যোগাসন কি কি? আপনার জানা আছে কি? যদি না জানা থাকে তবে তা জেনে নিন।
যোগাসন কি?
পুরাকালে মুনিঋষিগণ শরীরকে নীরোগ এবং কার্যক্ষম রাখার জন্য কতকগুলো আসনের নির্দেশ দিয়েছেন সেই সকল আসনকেই যোগাসন বলে। যোগসান বা যৌগিক ব্যায়াম মানব শরীরের স্নায়ুমণ্ডলীকে তথা দেহের অভ্যন্তরস্থিত যন্ত্রসমূহকে বিশেষভাবে পুষ্ট, সবল এবং কর্মক্ষম রাখতে পারে। যৌগিক আসনাদি নিয়মিত অভ্যাসে দৈহিক ক্ষয় রোধ হয়, শক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীর রোগমুক্ত হয় এবং যৌবন এবং দৈহিক শক্তিকে দীর্ঘস্থায়ী রাখা সম্ভব হয়। যৌগিক ব্যায়াম মানসিক শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক। শরীরকে সুস্থ ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে যৌগিক ব্যায়ামের জন্য যে সকল আসন আবশ্যক সে সকল যোগাসন কত প্রকার ও কি কি?
কুক্কুটাসন kukkutasana
পদ্ধতি : পদ্মাসনে বসে দু’ হাত হাঁটু ও উরুর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দু’ হাতের চেটো মাটিতে রাখুন। এ বার হাতের ওপর ভর দিয়ে পদ্মাসন অবস্থায় দেহকে ওপর দিকে তুলে কনুইয়ের ওপর স্থাপন করুন। এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গুনুন। এ রূপ তিন বার অভ্যাস করুন।
বি. দ্র : কেউ কেউ ভিন্নতর পদ্ধতিতে কুক্কুটাসন অভ্যাস করেন।
ভিন্ন পদ্ধতি : পদ্মাসনে বসে হাতের ওপর ভর দিয়ে নিতম্ব তুলুন যেন হাঁটু দু’টো মাটিতে লেগে থাকে। এ বার দু’ হাত দু’ হাঁটু সামনে আনুন। হাতের চেটোটা মাটিতে পাতা থাকবে। দু’ হাঁটু দু’ হাতের সংলগ্ন রেখে আস্তে আস্তে মাটি থেকে সমস্ত দেহটাকে টেনে তুলুন। এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গুনে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এ রূপ তিন বার অভ্যাস করুন।
উপকারিতা : পেশিবাত, স্কন্ধবাত, পাকাশয়ের শীর্ণতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হাত কাঁপা, ফাইব্রোসাইটিস ইত্যাদি ভালো করতে সাহায্য করে। হাতের জোর, ব্যালেন্স ও বিভিন্ন জয়েন্টের নমনীয়তা বৃদ্ধি করতে আসনটি উপকারী।


Post a Comment